আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২০১৪ সালের ৮ মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে মালয়েশিয়ান ফ্লাইট ‘এমএইচ ৩৭০’ রাডার থেকে হারিয়ে যায়। প্রায় ৩ বছর ধরে ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়া বিমানটির
খোঁজ করা হলেও এখনো কেউ জানেনা আসলে কি হয়েছিল এই বিমানটির সঙ্গে। এমনকি বিমানটির বিশেষ সংকেত প্রদান করার ব্যবস্থাও বিকল ছিল, যা ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিমানের ক্ষেত্রেও মেনে নেয়া কঠিন। আর সে কারণেই এই বিমানটি নিখোঁজ হওয়া প্রসঙ্গে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু তত্ত্ব।
খোঁজ করা হলেও এখনো কেউ জানেনা আসলে কি হয়েছিল এই বিমানটির সঙ্গে। এমনকি বিমানটির বিশেষ সংকেত প্রদান করার ব্যবস্থাও বিকল ছিল, যা ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিমানের ক্ষেত্রেও মেনে নেয়া কঠিন। আর সে কারণেই এই বিমানটি নিখোঁজ হওয়া প্রসঙ্গে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু তত্ত্ব।
এদিকে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনের হারিয়ে যাওয়া বিমান ‘এমএইচ ৩৭০’ উত্তর কোরিয়ায় রয়েছে বলে দাবি করছে এক্সপ্রেস নামক যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকা। সেখানে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি কনসপাইরেসি তত্ত্ব অনুসারে উত্তর কোরিয়া মালয়েশিয়ান এই বিমানটি লুকিয়ে রাখতে পারে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রেডডিটে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তেমনি এক কনসপাইরেসি তত্ত্ব। সেখানে বলা হয়েছে, কিছু পরীক্ষা চালাতেই উত্তর কোরিয়া মালয়েশিয়ান বিমানটি হাইজাক করে এবং বর্তমানে তারা বিমানটি লুকিয়ে রেখেছে। তবে বিমানটির যাত্রীদের নিয়ে কি করা হয়েছে তা স্পষ্ট করা হয়নি এই তত্ত্ব। সেখানে তাদের তত্ত্বের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে বলা হয়। ‘এমএইচ ৩৭০’ ফ্লাইটটিতে উত্তর কোরিয়ায় যাওয়ার মত যথেষ্ট তেল মজুদ ছিল।
সেখানে আরো বলা হয়, ১৯৬৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান ওয়াইএস-১১ হাইজাক করেছিল উত্তর কোরিয়া
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বিমান সংস্থার কর্মকর্তা ইটিএন নিউজকে জানায়, বোয়িং-৭৭৭ জাতের একটি বিমান প্রয়োজন ছিল উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং-উনের। তিনি কোন একটি পরীক্ষা চালাতে চেয়েছিলেন বিমানটি নিয়ে। তবে গণমাধ্যম সংস্থা ইটিএন- এর সম্পাদক নেলসন এমন বক্তব্যে সন্দেহ প্রকাশ করে জানান, আধুনিক যুগে উত্তর কোরিয়ার এমন ঝুঁকি নেয়নি বলে আমার বিশ্বাস।
অন্যদিকে অপর এক ব্যক্তি ‘এমএইচ ৩৭০’ বিমানের অবস্থান সম্পর্কিত তথ্য বিশ্লেষণ করে জানান, বিমানটি রাডার থেকে অদৃশ্য হওয়ার আগে উত্তর কোরিয়া অভিমুখ দক্ষিণ পশ্চিম দিকে চলে আসে। অবশ্য এই সকল তত্ত্বের মধ্যে কোনটি এখন পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে পৌঁছায়নি।
উত্তর কোরিয়া ও মালয়েশিয়ার মধ্যে কিম জং-উনের ভাই ন্যাম হত্যাকাণ্ড নিয়ে বাজে সম্পর্ক যাচ্ছে। তার মধ্যে ‘এমএইচ ৩৭০’ নিয়ে দেয়া এ ধরণের বিভ্রান্তিকর তথ্য আগুনে ঘি ঢালার কাজ করবে বলে ধারণ প্রকাশ করেছে বিশেষজ্ঞরা।
Copy
No comments:
Post a Comment