Thursday 20 April 2017

বাদল পালানোর জন্য গর্ভবতী নারীর লাশ সেজেছেন! -ড.মুহাম্মদ রেজাউল করিম


বাদল পালানোর জন্য গর্ভবতী নারীর লাশ সেজেছেন!
-ড.মুহাম্মদ রেজাউল করিম

Rejaul korim

Copy by Md Abdur Rob


বাংলাদেশে ক্ষমতার রাজনীতিতে জাসদ এখন ছাগলের বাছুর তিন নম্বরটার ভূমিকায় অবতীর্ণ। এক সময় আওয়ামীলীগের প্রচন্ড প্রতিদ্বন্ধী হলেও এখন ক্ষমতা ভোগী আর লুটপাটের অংশীদারিত্ব নিয়ে বাঘ-সিংহ যেন এখন এক ঘাটে পানি খায়। যদিও এতে বামদের অপরাংশ বেজায় এতে নারাজ। অপরদিকে মহাজোট সরকারের বাম নির্ভরতার খবর প্রায় অনেকদিন থেকে আলোচিত হয়ে আসছে এবং এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের
অনেকেই আকারে ইঙ্গিতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। ইনু সাহেবের উদ্ভট মন্তব্যের দায় আওয়ামীলীগকেই নিতে হচ্ছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না। সম্প্রতি ১৪দলের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে জাসদ কার্যকর সভাপতি মাঈনুদ্দিন খান বাদল ২০ দলের অরোধ কর্মসূচী সম্পর্কে বলেন ”আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রথমে তাদের লাঠি দিয়ে মোকাবেলা করবে পরে পায়ে গুলি করবে, পায়ে গুলিতে কাজ না হলে পরিস্থিতি বুঝে বুকে গুলি করবে” (১৪/০১/২০১৫ সুত্র:মানব জমিন)

বাদল সাহেবেরে এই বক্তব্য কতটুকু গনতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক তা তিনিই ভালো জানেন। একজন সাংসদ এক বক্তব্য দিতে পারেন কি? আজ ২০ দলের এ আন্দোলন বাদল সাহেবদের কাছে অগণতান্ত্রিক হলে তাহলে আসলে গণতান্ত্রিক আন্দোলন কোনটি? বাদল সাহেবেরা এখন ক্ষমতা, আর হালুয়া-রুটির ভাগ নিয়ে যা ইচ্ছা তাই বলবেন? তাহলে এক সময় ইনু-বাদল-মেনন সাহেবদের সশস্ত্র বিপ্লব, লাল বাহিনীর বিপ্লব কতটুকু গনতান্ত্রিক ছিল? ইনু-মেনন আর বাদল সাহেবরা ৩০ হাজার নেতা-কর্মীর রক্তের সাথে বেঈমানী করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্টাভূগী হয়ে যেন সব ভুলে গেলেন? কারণ গলাবাজি, দম্ভক্তি করে আওয়ামীলীগের দালালী করলে ভোট ছাড়াই এমপি, মন্ত্রী হওয়া যায়। ইনু-মেনন আর বাদল সাহেবরা জানেন জনগনের ভোটে তারা জীবনেও এমপি, মন্ত্রী হতে পারবেনা। তাই কি এমন দালালী আর দম্ভোক্তি? রাজনৈতিক এতিমদের জন্য ক্ষমতায় থাকার এটাই সহজ পদ্ধতি?   যারা ২০ দলের গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পর্কে বিভিন্ন মন্তব্য করছেন। সেই ইনু-বাদল সাহেবদের আন্দোলনের চরিত্র এবার ইতিহাস থেকে দেখা যাক। জাসদের উত্থান পতন:অস্থির সময়ের রাজনীতি বইয়ে জনাব মহিউদ্দীন লিখেছেন- ”জাসদের এক প্রচারপত্রে শিরোনামে ‘এই কি সোনার বাংলা---শেখ মুজিব জবাব দাও’সভা, জমায়েত, মিছিল, ধর্মঘট ইত্যাদি জনগণের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মৌলিক অধিকার। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিব ফরমান জারি করে সেগুলোও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন, যাতে জনগণ কুকুরের মতো মরতে থাকলেও আর প্রতিবাদ করতে না পারে। যত্রতত্র জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা; হয়রানি চলছে নিরীহ মানুষদের। এটাই মুজিববাদী গণতন্ত্রের স্বরূপ। ‘বাংলাদেশে আজ ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ’বলে উল্লেখ করা হয়। গত ২৫ মাসে গুম ও খুন হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার। রক্ষীবাহিনী ও পুলিশের হামলা হয়েছে প্রায় ২৪ হাজার পরিবারে। জেলে রাজবন্দী আছে ১৮ হাজারের ওপর। হুলিয়া আছে প্রায় ২৫ হাজার নেতা ও কর্মীর নামে। বাড়ি পুড়েছে প্রায় আড়াই হাজার। নারী ধর্ষণ অসংখ্য। প্রগতিশীল নেতা ও কর্মীদের গুম ও খুন করার জন্য এক ঢাকা শহরেই নামানো হয়েছে প্রায় দেড়’শ স্কোয়াড। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আজ খুনের আড্ডা। ১৯৭৩-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যত ভোট পেয়েছে, তার শতকরা ৫২ ভাগ জাল, আর প্রায় ২০ ভাগ মানুষের দারিদ্র্যের সুযোগে লোভ-লালসার মাধ্যমে ঠকিয়ে নেওয়া। উপনির্বাচন এবং স্কুল-কলেজের নির্বাচনও বস্তুত ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও বুলেট ব্যবহারের নির্বাচন।”এটি ছিল আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে আপনাদের বক্তব্য। আজ ক্ষমতার লোভে আওয়ামীলীগের সব অপকর্মই এখন ইনু-বাদল আর মেনন সাহেবদের কাছে হালাল এবং জায়েজ!!   বাদল সাহেব পালানোর জন্য গর্ভবতী নারীর লাশ সেজেছেন!:-   ১৭ মার্চ পল্টনে জাসদের উদ্যোগে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। তাতে জলিল ও রব অত্যন্ত জ্বালাময়ী বক্তৃতা দেন। জনতা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। সভা শেষ হতে না হতেই এক বিশাল মিছিল মিন্টো রোডের দিকে রওনা হয়। হঠাৎ কোত্থেকে কয়েক ট্রাক পুলিশ আর রক্ষীবাহিনী এল। শুরু করল গুলি। জলির ভাই, মমতাজ আর আমি একসঙ্গে ছিলাম। ইনু কমান্ড দিল, ‘সবাই শুয়ে পড়েন’। আমরা শুয়ে পড়লাম।”সরকারি প্রেস নোটে বলা হয়, তিনজন নিহত এবং ১৮ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে জলিল, রব, মমতাজ বেগম ও মাঈনউদ্দিন খান বাদল ছিলেন। তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। মাঈনউদ্দিন খান বাদলের বাবা আহমদউল্লাহ খান ছিলেন পুলিশের ঢাকার তেজগাঁও অঞ্চলের ডিএসপি। বাদল পরে তাঁর কাছে শুনেছিলেন, ৪০-৫০টি লাশ রক্ষীবাহিনী ট্রাকে করে নিয়ে গেছে।”   গুলিবিদ্ধ অবস্থায় যাঁরা প্রেপ্তার হয়েছিলেন, মাঈনউদ্দিন খান বাদল তাঁদের একজন। তাঁকে পুলিশ পাহারায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বাদলের আশঙ্কা ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ হত্যার অভিযোগ আনা হতে পারে।

একজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছিলেন বলে কানাঘুষা চলছিল। হাসপাতালের কেবিনের বাইরে দরজার পাশে পুলিশ পাহারা থাকে। দুপুরে পনেরো মিনিটের মধ্যে ডিউটি বদল হয়। ওই সময় একদল পুলিশ তিনতলার কেবিন এলাকা থেকে নিচে নেমে যায়, আরেক দল ওপরে উঠে আসে। অর্থাৎ, পনেরো মিনিট কোনো পাহারা থাকে না। পরিকল্পনা হলো, ওই পনেরো মিনিট সময়কে কাজে লাগানো নিয়ে। একদিন দুপুরে যখন ডিউটি বদল হচ্ছে, তখন মেডিকেলের কয়েকজন ছাত্র একটা স্ট্রেচার নিয়ে এলেন। বাদল তার ওপর শুয়ে পড়লেন। পেটের ওপর একটা বালিশ রেখে তার সারা শরীরে চাদরে ঢেকে দেওয়া হলো। ছাত্ররা দ্রুত স্ট্রেচার নিয়ে করিডর দিয়ে ছুটতে ছুটতে লিফটে ঢুকলেন। দেখলে মনে হবে, একজন গর্ভবতী নারীর লাশ যাচ্ছে। হাসপাতালের পেছনের গেট দিয়ে ‘লাশ’বের করে একটা অ্যাম্বুলেন্সে ওঠানো হলো। অ্যাম্বুলেন্স আজিমপুরের কাছে একটা জায়গায় থেমে ‘লাশ’নামিয়ে দিল। ‘লাশ’হেঁটে চলে গেল চাদর মুড়ি দিয়ে।” (জাসদের উত্থান পতন : অস্থির সময়ের রাজনীতি)   জাসদের উপর আওয়ামীলীগের নির্মম নির্যাতন: -   জাসদের কর্মীদের প্রতি জাতীয় রক্ষীবাহিনীর সদস্যদের আচরণ ছিল নির্মম।

রক্ষীবাহিনীর হাতে নির্যাতিত জাসদের কর্মীদের অভিজ্ঞতা ছিল ভয়াবহ। তেহাত্তর সালে এসব ‘সংঘর্ষে’জাসদের ২৩ জন কর্মী নিহত হন বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়। জাসদের কর্মী খুঁজে বের করে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ ছিল রক্ষীবাহিনীর বিরুদ্ধে। পঁচাত্তরের ১ জানুয়ারি সিরাজ শিকদারকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তা মারুফুল হক তাঁকে গ্রেপ্তার করেন। তাঁকে হাতকড়া পরিয়ে চোখ বেঁধে বিমানে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। তেজগাঁও বিমানবন্দরে তাঁকে নামানো হলে পুলিশের ইন্সপেক্টর কায়কোবাদ তাঁর বুকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেন। মালিবাগে স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসে কিছুক্ষণ রাখার পর অতিরিক্ত নিরাপত্তার কারণে তাঁকে শেরেবাংলা নগরে রক্ষীবাহিনীর ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হয়। ঢাকার পুলিশ সুপার মাহবুব উদ্দিন আহমদকে জিজ্ঞাসাবাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের পদ্ধতি নিয়ে মাহবুবের তেমন ‘সুখ্যাতি’ছিল না। ওই রাতেই তাঁকে হত্যা করা হয়। লেখা হয় ‘ক্রসফায়ারের’চিত্রনাট্য। একটা প্রেস নোটে বলা হয়, পুলিশ তাঁকে নিয়ে অস্ত্রের সন্ধানে সাভারে গিয়েছিল। গাড়ি থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে সিরাজ শিকদার নিহত হন। (জাসদের উত্থান পতন : অস্থির সময়ের রাজনীতি) এভাবে দেশে সর্বপ্রথম ‘ক্রসফায়ারের’নামে হত্যার রাজনীতি শুরু করে আওয়ামীলীগ। ইনু-বাদল সাহেবরা এখন সেই রক্তের সাথে গাদ্দারী করছেন না?   মহাজোট সরকারের এত জন ক্ষমতাধর প্রভাবশালী ব্যক্তি যদি বাম ঘরানারই হয় তাহলে আওয়ামী লীগ কোথায়? এটা আওয়ামী লীগের এক প্রকার রাজনৈতিক দেউলিয়াও বটে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার পিতাকে বামরাই সবচেয়ে বেশি বিপদে ফেলেছে, এখনও আপনার চতুর্দিকে তাদেরই আনাগোনা, ইতালীয় বংশোদ্ভূত সাংবাদিক ওরিয়ানা ফালাচির ‘ইন্টারভিউ উইথ হিস্টরি’গ্রন্থের ৯ পৃষ্ঠায় লিখেছেন-”‘আমি শেখ মুজিবুর রহমানকে বললাম, মি. প্রাইম মিনিস্টার, সমাজতন্ত্রী কি না? তিনি উত্তর দিলেন, ‘হ্যা......’। তার কণ্ঠে দ্বিধা। তাকে আবার বললাম যে, সমাজতন্ত্র বলতে তিনি কী বুঝেন? তিনি উত্তর দিলেন, ‘সমাজতন্ত্র’। তাতে আমার মনে হলো সমাজতন্ত্র সম্পর্কে তার যথার্থ ধারণা নেই।”   জাসদ রাজনীতিতে পরিশীলিত ভাষা পরিবর্তে গালাগালি করতে অভ্যস্ত:-   ”জাসদ একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে উঠেছিল এবং চরমপন্থার দিকে ধীরে ধীরে ঝুঁকছিল।

এ সময় অন্য বাম দলগুলোর মধ্যে, বিশেষ করে যারা ‘সশস্ত্র বিপ্লবে’বিশ্বাস করে, প্রচারধর্মী বক্তব্যই বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এসব বক্তব্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছিল বাগাড়ম্বরে পরিপূর্ণ এবং মার্ক্স-এঙ্গেলস-লেনিন-স্ট্যালিন-মাও সে-তুংয়ের উদ্ধৃতিতে ভরা। যেমন কিছু একটা বলতে চাইলে যুক্তি দেওয়া হতো---এটা করতে হবে, কেননা কমরেড লেনিন এ কথা বলেছেন..., ওভাবে যাওয়া যাবে না, কারণ চেয়ারম্যান মাও এ বিষয়ে এই কথা বলেছেন ইত্যাদি। বাম রাজনীতিতে এই পীরবাদী প্রবণতা স্বাধীন বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চাকে প্রায় অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছিল। মাওবাদী গ্রুপগুলোর অবস্থা ছিল শোচনীয়। গণবিরোধী ভূমিকার জন্য এদের অনেকের ভাবমূর্তি ছিল নেতিবাচক। তাদের কেউ কেউ ‘ভারতের দালাল-মুক্তিযোদ্ধাদের’খতম করাকে বিপ্লবী কাজ মনে করত। রাজনীতিতে পরিশীলিত ভাষা ব্যবহার করার চেয়ে গালাগালি করতে অভ্যস্ত, জাসদকে কেউ বলত ‘জারজ সন্তানের দল’, কেউ বলত ‘ভারতের সেকেন্ড ডিফেন্স লাইন’। দলটির সমালোচনা হিসেবে সম্ভবত সবচেয়ে শোভন মন্তব্যগুলো ছিল ‘উগ্র’, ‘হঠকারী’ও ‘বিভ্রান্ত’।এদের আরেকটি প্রবণতা হলো, নিজ দলকে একমাত্র খাঁটি বিপ্লবী দল হিসেবে দাবি করা এবং অন্য সব দলকে কুচক্রী, ষড়যন্ত্রকারী, বিশ্বাসঘাতক ও দেশি-বিদেশি শক্তির এজেন্ট হিসেবে চিত্রিত করা।” (জা.উ.প : অস্থির সময়ের রাজনীতি)

শেখ মুজিবুর রহমানকে এই শ্রেণীর বামরাই প্রলুদ্ধ করে বাকশাল কায়েম করিয়ে ছিলেন যদিও আজ ইতিহাসের বিচারে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য এটিই ছিল সবচেয়ে বড় ভুল। ২৮ অক্টোবর ২০০৬ পল্টন ময়দানে আওয়ামীলীগ লগি-বৈঠা দিয়ে প্রকাশ্য মানুষ হত্যা করে লাশের ওপর নাচানাচি করে উল্লাস প্রকাশ করেছে বাম ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা। অনেকেই মনে করছে ১/১১-এর আগে ও পরে নেপথ্যে বাংলাদেশের বামবুদ্বিজীবী ও রাজনীতিবিদদের ভূমিকা আওয়ামীলীগকে সবচেয়ে বেশি বিপথগামী করেছে। একথা সবারই জানা, আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টির জন্য বামরাই দায়ী, এখন আবার বামপন্থীরা কু-বুদ্ধি আর উদ্ভট বক্তব্য দিয়ে শেখ হাসিনার জনসমর্থন শূন্যের কোটায় নিয়ে যাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

No comments:

Post a Comment