Wednesday 28 December 2016
Tuesday 15 November 2016
সূরা আল আদিয়াত (নামকরণ, শানে নুযূল, পটভূমি ও বিষয়বস্তু)
সূরা আল আদিয়াত (নামকরণ, শানে নুযূল, পটভূমি ও বিষয়বস্তু)
নামকরণ :
প্রথম শব্দ আল আদিয়াতকে (وَالْعَادِيَاتِ) এর নান হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।নাযিলের সময় - কাল
এই সূরাটির মক্কী বা মাদানী হওয়ার ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) , জাবের (রা) , হাসান বসরী , ইকরামা ও আতা বলেন ,
Location: Abha, Saudi Arabia
Noakhali, Bangladesh
Saturday 12 November 2016
সূরা আল আনকাবূত (নামকরণ, শানে নুযূল, পটভূমি ও বিষয়বস্তু)
সূরা আল আনকাবূত
(নামকরণ, শানে নুযূল, পটভূমি ও বিষয়বস্তু)
নামকরণঃ
একচল্লিশের আয়াতের অংশবিশেষ ﴿مَثَلُ الَّذِينَ اتَّخَذُوا مِن دُونِ اللَّهِ أَوْلِيَاءَ كَمَثَلِ الْعَنكَبُوتِ اتَّخَذَتْ بَيْتًا ۖ وَإِنَّ أَوْهَنَ الْبُيُوتِ لَبَيْتُ الْعَنكَبُوتِ ۖ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ﴾থেকে সূরাটির নামকরণ করা হয়েছে। অর্থাৎ যে সূরার মধ্যে ’আনকাবুত শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে, এটি সে সূরা।নাযিল হবার সময়কালঃ
৫৬ থেকে ৬০ আয়াতের মধ্যে যে বক্তব্য এসেছেসূরা আল আলাক (নামকরণ, শানে নুযূল, পটভূমি ও বিষয়বস্তু এবং তাফসীর )
আল আলাক
(নামকরণ, শানে নুযূল, পটভূমি ও বিষয়বস্তু)নামকরণ :
সূরাটির দ্বিতীয় আয়াতে উল্লেখিত আলাক (আরবী --- ) শব্দ থেকে এর নামকরণ করা হয়েছে।নাযিলের সময় - কাল
এই সূরাটির দু’টি অংশ । প্রথম অংশটি (আরবী ---- ) থেকে শুরু হয়ে পঞ্চম আয়াতে (আরবী ---------) এ গিয়ে শেষ হয়েছে। আর দ্বিতীয় অংশটি (আরবী --------------------------- ) থেকে শুরু হয়ে সূরার শেষ পর্যন্ত চলেছে। প্রথম অংশটি যে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর অবতীর্ণ সর্বপ্রথম অহী এ ব্যাপারেThursday 10 November 2016
সূরা আস-সফ শানে নুযূল ও দারস
সূরা আস-সফ শানে নুযূল ও দারস
নামকরণ
সূরার চতুর্থ আয়াতের إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِهِ صَفًّا كَأَنَّهُم بُنْيَانٌ مَّرْصُوصٌ﴾ (صَفًّا) আয়াতাংশ থেকে এর নাম গৃহীত হয়েছে । অর্থাৎ এটি সেই সূরা যাতে ‘সফ’ শব্দটি আছে ।নাযিল হওয়ার সময়-কাল
কোন নির্ভরযোগ্য বর্ননা থেকে এর নাযিল হওয়ার সময় -কাল জানা যায় না । কিন্তুFriday 4 November 2016
সুরা আল জুমআ(নামকরণ, শানে নুযূল, পটভূমি ও বিষয়বস্তু)
আল জুমআ(নামকরণ, শানে নুযূল, পটভূমি ও বিষয়বস্তু)
নামকরণ
৯ নং আয়াতের () আয়াতাংশ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে । এ সূরার মধ্যে যদিও জুম’আর নামাযের আহকাম বা বিধি -বিধানও বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু জুম’আ সামগ্রিকভাবে এর বিষয়বস্তুর শিরোনাম নয় । বরং অন্যান্য সূরার নামের মত এটিও এ সূরার প্রতিকী বা পরিচায়মূলক নাম ।
নাযিল হওয়ার সময়-কাল
প্রথম রুকূ’র আয়াতসমূহ ৭ হিজরীতে সম্ভবতTuesday 1 November 2016
সুরা আল ফীল (নামকরণ, শানে নুযূল, পটভূমি ও বিষয়বস্তু)
সুরা আল ফীল
নামকরণ :
প্রথম আয়াতের
আসহাবিল ফীল ( আরবী ----------------) শব্দ থেকে এর নামকরণ করা হয়েছে।
নাযিলের সময় কাল
এ সূরাটির মক্কী
হবার ব্যাপারে সবাই একমত। এর ঐতিহাসিক
পটভূমি সামনে রাখলে মক্কা মু’ আযযমায় ইসলামের
প্রথম যুগে এটি নাযিল হয় বলে মনে হয়।
ঐতিহাসিক পটভূমি
এর আগে সূরা
বুরুজের ৪ টীকায় উল্লেখ করে এসেছি ,
ইয়ামনের ইহুদী শাসক
বনী ইসরাঈল (নামকরণ, শানে নুযূল, পটভূমি ও বিষয়বস্তু )
বনী ইসরাঈল
(নামকরণ, শানে নুযূল, পটভূমি ও বিষয়বস্তুর
জন্য ক্লিক করুন)
নামকরণ:
চার নম্বর আয়াতের অংশ বিশেষ (আরবী ------------------------------------) থেকে বনী ইসরাঈল নাম গৃহীত হয়েছে । বনী ইসরাঈল এই সূরার আলোচ্য বিষয় নয় । বরং এ নামটিও কুরআনের অধিকাংশ সূরার মতো প্রতীক হিসেবেই রাখা হয়েছে ।নাযিলের সময় কাল
প্রথম আয়াতটিই একথা ব্যক্ত করে দেয় যে,Sunday 30 October 2016
দেশবাশীর প্রতি জামায়াতের নতুন আমীরের ভাষণ
নাহমাদুহু ওয়া
নুসাল্লি আ’লা
রাসূলিহীল কারীম”
প্রিয় দেশবাসী,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
আজ দেশের এক কঠিন ক্রান্তিকালে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে
পেরে প্রথমেই আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। সেই
সাথে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যে সকল জনগণ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ
ভুমিকা ও অকৃত্রিম ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি তাদের
কথা আজ গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরন করছি। বিশেষভাবে স্বাধীনতার স্থপতি
শেখ
Saturday 29 October 2016
নাহমাদুহু ওয়া
নুসাল্লি আ’লা
রাসূলিহীল কারীম”
প্রিয় দেশবাসী,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
আজ দেশের এক কঠিন ক্রান্তিকালে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে
পেরে প্রথমেই আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। সেই
সাথে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যে সকল জনগণ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ
ভুমিকা ও অকৃত্রিম ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি তাদের
কথা আজ গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরন করছি। বিশেষভাবে স্বাধীনতার স্থপতি
শেখ
Friday 28 October 2016
সুরা আন-নিসা (নামকরণ, শানে নুযূল, পটভূমি ও বিষয়বস্তু)
সুরা আন-নিসা
(নামকরণ, শানে নুযূল, পটভূমি ও বিষয়বস্তুর জন্য ক্লিক করুন)
নাযিল হওয়ার সময়-কাল ও বিষয়বস্তুঃ
এ সূরাটি কয়েকটি ভাষণের সমষ্টি । সম্ভবত তৃতীয় হিজরীর শেষের দিক থেকে নিয়ে চতুর্থ হিজরীর শেষের দিকে অথবা পঞ্চম হিজরীর প্রথম দিকের সময়-কালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে এর বিভিন্ন অংশ নাযিল হয়।Thursday 27 October 2016
সুরা আল-হাদীদ (নামকরণ, শানে নুযূল, পটভূমি ও বিষয়বস্তু)
সুরা আল-হাদীদ
(নামকরণ, শানে নুযূল, পটভূমি ও বিষয়বস্তু)MY Web Site Link
নামকরণ
সূরার ২৫ আয়াতের (لَقَدْ أَرْسَلْنَا رُسُلَنَا بِالْبَيِّنَاتِ وَأَنزَلْنَا مَعَهُمُ الْكِتَابَ وَالْمِيزَانَ لِيَقُومَ النَّاسُ بِالْقِسْطِ ۖ وَأَنزَلْنَا الْحَدِيدَ فِيهِ بَأْسٌ شَدِيدٌ وَمَنَافِعُ لِلنَّاسِ وَلِيَعْلَمَ اللَّهُ مَن يَنصُرُهُ وَرُسُلَهُ بِالْغَيْبِ ۚ إِنَّ اللَّهَ قَوِيٌّ عَزِيزٌ) বাক্যাংশ থেকে নাম গৃহীত হয়েছে।
নাযিল হওয়ার সময়-কাল
সর্ব সম্মাত মতে এটি মদীনায় অবতীর্ণ সূরা।এ সূরার
বিষয়বস্তু নিয়ে চিন্তা ভাবনা
Wednesday 26 October 2016
সুরা আল বাকারাহ (নামকরণ, শানে নুযূল, পটভূমি ও বিষয়বস্তুর জন্য ক্লিক করুন)
আল বাকারাহ
(নামকরণ, শানে নুযূল, পটভূমি ও বিষয়বস্তুর জন্য ক্লিক করুন)
নামকরণ
বাকারাহ মানে গাভী । এ সূরার এক জায়গায় গাভীর উল্লেখ থাকার কারণে এর এই নামকরণ করা হয়েছে । কুরআন মজীদের প্রত্যেকটি সূরার এত ব্যাপক বিষয়ের আলোচনা করা হয়েছে যার ফলে বিষয়বস্তুর দিক দিয়ে তাদের জন্য কোন পরিপূর্ণ ও সার্বিক অর্থবোধক শিরোনাম উদ্ভাবন করা সম্ভব নয় । শব্দ সম্ভারের দিক দিয়ে আরবী ভাষাTuesday 25 October 2016
সুরা তাওবার নামকরণ, শানে নুযূল, পটভূমি ও বিষয়বস্তু (কপিঃ মোঃ আবদুর রব )
সুরা আত তওবা
যে সকল বিষয়ে আলচনা করা হয়েছে -my web site
*নামকরণ*বিসমিল্লাহ না লেখার কারণ*নাযিলের সময়কাল ও সূরার অংশসমূহ*ঐতিহাসিক পটভূমি*আরব বিজয়*তাবুক অভিযান*আলোচ্য বিষয় ও সমস্যাবলী
*নামকরণ
এ সূরাটি দু'টি নামে পরিচিতঃ আত্ তাওবাহ ও আল বারাআতু। তাওবা নামকরণের কারণ, এ সূরার এক জায়গায় কতিপয় ঈমানদারের গোনাহ মাফ করার কথা বলা হয়েছে । আর এর শুরুতে মুশরিকদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের কথা ঘোষণা করা হয়েছে বলে একে বারাআত (অর্থাৎ সম্পর্কচ্ছেদ ) নামে অভিহিত করা হয়েছে।*বিসমিল্লাহ না লেখার কারণ
এ সূরার শুরুতে বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম লেখা হয় না।সূরা আল-ফুরকান নামকরণ, শানে নুযূল, পটভূমি ও বিষয়বস্তু
আল-ফুরকান
ভূমিকা
(নামকরণ, শানে নুযূল, পটভূমি ও বিষয়বস্তুর জন্য ক্লিক করুন
নামকরণ
প্রথম আয়াত (আরবী) থেকে সূরা নাম গৃহীত হয়েছে । কুরআনেরসুরা আল ফাতিহার তাফসির
সুরা আল ফাতিহার তাফসির
(নামকরণ, শানে নুযূল, পটভূমি ও বিষয়বস্তু)
নামকরণ
এ সূরার বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্য রেখেই এর এই নামকরণ করা হয়েছে । যার সাহায্যে কোন বিষয়, গ্রন্থ বা জিনিসের উদ্বোধন করা হয় তাকে ‘ফাতিহা’ বলা হয় । অন্য কথায় বলা যায় , এ শব্দটি ভূমিকা এবং বক্তব্য শুরু করার অর্থ প্রকাশ করে ।নাযিল হওয়ার সময়-কাল
এটি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুওয়াত লাভের একেবারেই প্রথম যুগের সূরা । বরং হাদীসের নির্ভরযোগ্য বর্ণনা থেকে জানা যায়, এটিই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর নাযিলকৃত প্রথম পূর্ণাঙ্গ সূরা। এর আগে মাত্র বিছিন্ন কিছু আয়াত নাযিল হয়েছিল । সেগুলো সূরা ‘আলাক’, সূরা ‘মুয্যাম্মিল’ ও সূরা ‘মুদ্দাস্সির’ ইত্যাদিতে সন্নিবেশিত হয়েছে ।বিষয়বস্তু
আসলে এ সূরাটি হচ্ছে একটি দোয়া । যে কোন ব্যক্তি এ গ্রন্থটি পড়তে শুরু করলে আল্লাহ প্রথমে তাকে এ দোয়াটি শিখিয়ে দেন । গ্রন্থের শুরুতে এর স্থান দেয়ার অর্থই হচ্ছে এই যে, যদি যথার্থই এ গ্রন্থ থেকে তুমি লাভবান হতে চাও, তাহলে নিখিল বিশ্ব-জাহানের মালিক আল্লাহর কাছে দোয়া এবং সাহায্য প্রার্থনা করো । মানুষের মনে যে বস্তুটির আকাংখা ও চাহিদা থাকে স্বভাবত মানুষ সেটিই চায় এবং সে জন্য দোয়া করে । আবার এমন অবস্থায় সে এই দোয়া করে যখন অনুভব করে যে, যে সত্তার কাছে সে দোয়া করছে তার আকাংখিত বস্তুটি তারই কাছে আছে । কাজেই কুরআনের শুরুতে এই দোয়ার শিক্ষা দিয়ে যেন মানুষকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, সত্য পথের সন্ধান লাভের জন্য এ গ্রন্থটি পড়, সত্য অনুসন্ধানের মানসিকতা নিয়ে এর পাতা ওলটাও এবং নিখিল বিশ্ব-জাহানের মালিক ও প্রভু আল্লাহ হচ্ছেন জ্ঞানের একমাত্র উৎস--- একথা জেনে নিয়ে একমাত্র তাঁর কাছেই পথনির্দেশনার আর্জি পেশ করেই এ গ্রন্থটি পাঠের সূচনা কর ।এ বিষয়টি অনুধাবন করার পর একথা সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, কুরআন ও সূরা ফাতিহার মধ্যকার আসল সম্পর্ক কোন বই ও তার ভূমিকার সম্পর্কের পর্যায়ভুক্ত নয়। বরং এ মধ্যকার আসল সম্পর্কটি দোয়া ও দোয়ার জবাবের পর্যায়ভুক্ত । সূরা ফাতিহা বান্দার পক্ষ থেকে একটি দোয়া । আর কুরআন তার জবাব আল্লাহর পক্ষ থেকে । বান্দা দোয়া করে, হে মহান প্রভু! আমাকে পথ দেখাও । জবাবে মহান প্রভু এই বলে সমগ্র কুরআন তার সামনে রেখে দেন ____ এই নাও সেই হিদায়াত ও পথের দিশা যে জন্য তুমি আমার কাছে আবেদন জানিয়েছ ।
﴿الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ﴾
১) প্রশংসা ১
একমাত্র আল্লাহর জন্য ২ যিনি নিখল বিশ্ব –জাহানের রব, ৩
১ . ইসলাম মানুষকে একটি বিশেষ সভ্যতা ও সংস্কৃতি
শিক্ষা দিয়েছে । প্রত্যেকটি কাজ শুরু করার আগে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা সভ্যতা ও
সংস্কৃতির একটি রীতি । সচেতনতা ও আন্তরিকতার সাথে এ রীতির অনুসারী হলে অনিবার্যভাবে
তিনটি সুফল লাভ করা যাবে । একঃ মানুষ অনেক খারাপ কাজ করা থেকে নিষ্কৃতি পাবে । কারণ
আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা অভ্যাস তাকে প্রত্যেকটি কাজ শুরু করার আগে একথা চিন্তা
করতে বাধ্য করবে য, যথার্থই এ কাজে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করার কোন ন্যায়সংগত অধিকার
তার আছে কি না ৷ দুইঃ বৈধ সঠিক ও সৎকাজ শুরু করতে গিয়ে আল্লাহর নাম নেয়ার কারণে
মানুষের মনোভাব ও মানসিকতা সঠিক দিকে মোড় নেবে ।
সুরা আল ফাতিহার তাফসির
ভূমিকা (নামকরণ, শানে নুযূল, পটভূমি ও বিষয়বস্তুর জন্য ক্লিক করুন)
নামকরণ
এ সূরার বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্য রেখেই এর এই নামকরণ করা হয়েছে । যার সাহায্যে কোন বিষয়, গ্রন্থ বা জিনিসের উদ্বোধন করা হয় তাকে ‘ফাতিহা’ বলা হয় । অন্য কথায় বলা যায় , এ শব্দটি ভূমিকা এবং বক্তব্য শুরু করার অর্থ প্রকাশ করে ।নাযিল হওয়ার সময়-কাল
এটি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুওয়াত লাভের একেবারেই প্রথম যুগের সূরা । বরং হাদীসের নির্ভরযোগ্য বর্ণনা থেকে জানা যায়, এটিই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর নাযিলকৃত প্রথম পূর্ণাঙ্গ সূরা। এর আগে মাত্র বিছিন্ন কিছু আয়াত নাযিল হয়েছিল । সেগুলো সূরা ‘আলাক’, সূরা ‘মুয্যাম্মিল’ ও সূরা ‘মুদ্দাস্সির’ ইত্যাদিতে সন্নিবেশিত হয়েছে ।বিষয়বস্তু
আসলে এ সূরাটি হচ্ছে একটি দোয়া । যে কোন ব্যক্তি এ গ্রন্থটি পড়তে শুরু করলে আল্লাহ প্রথমে তাকে এ দোয়াটি শিখিয়ে দেন । গ্রন্থের শুরুতে এর স্থান দেয়ার অর্থই হচ্ছে এই যে, যদি যথার্থই এ গ্রন্থ থেকে তুমি লাভবান হতে চাও, তাহলে নিখিল বিশ্ব-জাহানের মালিক আল্লাহর কাছে দোয়া এবং সাহায্য প্রার্থনা করো । মানুষের মনে যে বস্তুটির আকাংখা ও চাহিদা থাকে স্বভাবত মানুষ সেটিই চায় এবং সে জন্য দোয়া করে । আবার এমন অবস্থায় সে এই দোয়া করে যখন অনুভব করে যে, যে সত্তার কাছে সে দোয়া করছে তার আকাংখিত বস্তুটি তারই কাছে আছে । কাজেই কুরআনের শুরুতে এই দোয়ার শিক্ষা দিয়ে যেন মানুষকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, সত্য পথের সন্ধান লাভের জন্য এ গ্রন্থটি পড়, সত্য অনুসন্ধানের মানসিকতা নিয়ে এর পাতা ওলটাও এবং নিখিল বিশ্ব-জাহানের মালিক ও প্রভু আল্লাহ হচ্ছেন জ্ঞানের একমাত্র উৎস--- একথা জেনে নিয়ে একমাত্র তাঁর কাছেই পথনির্দেশনার আর্জি পেশ করেই এ গ্রন্থটি পাঠের সূচনা কর ।এ বিষয়টি অনুধাবন করার পর একথা সুস্পষ্ট হয়ে যায় যে, কুরআন ও সূরা ফাতিহার মধ্যকার আসল সম্পর্ক কোন বই ও তার ভূমিকার সম্পর্কের পর্যায়ভুক্ত নয়। বরং এ মধ্যকার আসল সম্পর্কটি দোয়া ও দোয়ার জবাবের পর্যায়ভুক্ত । সূরা ফাতিহা বান্দার পক্ষ থেকে একটি দোয়া । আর কুরআন তার জবাব আল্লাহর পক্ষ থেকে । বান্দা দোয়া করে, হে মহান প্রভু! আমাকে পথ দেখাও । জবাবে মহান প্রভু এই বলে সমগ্র কুরআন তার সামনে রেখে দেন ____ এই নাও সেই হিদায়াত ও পথের দিশা যে জন্য তুমি আমার কাছে আবেদন জানিয়েছ ।
﴿الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ﴾
১) প্রশংসা ১
একমাত্র আল্লাহর জন্য ২ যিনি নিখল বিশ্ব –জাহানের রব, ৩
১ . ইসলাম মানুষকে একটি বিশেষ সভ্যতা ও সংস্কৃতি
শিক্ষা দিয়েছে । প্রত্যেকটি কাজ শুরু করার আগে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা সভ্যতা ও
সংস্কৃতির একটি রীতি । সচেতনতা ও আন্তরিকতার সাথে এ রীতির অনুসারী হলে অনিবার্যভাবে
তিনটি সুফল লাভ করা যাবে । একঃ মানুষ অনেক খারাপ কাজ করা থেকে নিষ্কৃতি পাবে । কারণ
আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা অভ্যাস তাকে প্রত্যেকটি কাজ শুরু করার আগে একথা চিন্তা
করতে বাধ্য করবে য, যথার্থই এ কাজে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করার কোন ন্যায়সংগত অধিকার
তার আছে কি না ৷ দুইঃ বৈধ সঠিক ও সৎকাজ শুরু করতে গিয়ে আল্লাহর নাম নেয়ার কারণে
মানুষের মনোভাব ও মানসিকতা সঠিক দিকে মোড় নেবে ।
سورة الفاتحة
سورة الفاتحة
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ (1) الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ (2) الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ (3) مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ (4) إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ (5) اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ (6) صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ (7)
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ (1) الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ (2) الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ (3) مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ (4) إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ (5) اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ (6) صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ (7)
Subscribe to:
Posts (Atom)