Monday 22 May 2017

কারা সিয়াম পালন করবে, কারা করবে না

কারা সিয়াম পালন করবে, কারা করবে না
আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান


 সিয়াম পালন যাদের ওপর ফরজ
প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন, মুকিম, সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য সিয়াম পালন ফরজ। যে ব্যক্তি এ শর্তাবলির অধিকারী তাকে অবশ্যই রমযান মাসে সিয়াম পালন করতে হবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন :
﴿ فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ ٱلشَّهۡرَ فَلۡيَصُمۡهُۖ ﴾ [البقرة: ١٨٥
সুতরাং তোমাদের মাঝে যারা এ মাস পাবে তারা যেন এ মাসে সিয়াম পালন করে। {সূরা বাকারা : ১৮৫}

রাসূলুল্লাহ () বলেছেন :
« إِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَصُومُوا ».
যখন তোমরা রমযানের চাঁদ দেখবে তখন সিয়াম পালন করবে।’ [বুখারী : ১৯০০; মুসলিম : ২৫৫৬]

এ বিষয়ে সকল মুসলিমের ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত।
দশ প্রকার মানুষের মাঝে সিয়াম পালনের এ সকল শর্ত অনুপস্থিত। তারা হল :
 প্রথম. কাফের বা অমুসলিম : কারণ তারা ইবাদত করার যোগ্যতা রাখে না। ইবাদত করলেও ইসলামের অবর্তমানে তা সহী হবে না, কবুলও হবে না। যদি কোন কাফের রমযানে ইসলাম গ্রহণ করে তবে পিছনের সিয়ামের কাজা আদায় করতে হবে না। কারণ আল্লাহ রাববুল আলামীন বলেন :
﴿ قُل لِّلَّذِينَ كَفَرُوٓاْ إِن يَنتَهُواْ يُغۡفَرۡ لَهُم مَّا قَدۡ سَلَفَ ﴾ [الانفال: ٣٨
যারা কুফরি করে তাদেরকে বল, ‘যদি তারা বিরত হয় তবে যা অতীতে হয়েছে আল্লাহ তা ক্ষমা করবেন।’ {সূরা আনফাল : ৩৮}
তবে রমযানে দিনের বেলা ইসলাম গ্রহণ করলে ঐ দিনের বাকি অংশটা পানাহার থেকে বিরত থাকবে।

 দ্বিতীয়. অপ্রাপ্ত বয়স্ক : অপ্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির জন্য বয়োপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সিয়াম পালন ফরজ নয়। রাসূলুল্লাহ () বলেছেন :
«رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ، عَنِ الْمَجْنُونِ الْمَغْلُوبِ عَلَى عَقْلِهِ حَتَّى يَفِيقَ، وَعَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ، وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَحْتَلِمَ»
তিন ব্যক্তি থেকে কলমকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। নিদ্রামগ্ন ব্যক্তি যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়। কম বয়সী ব্যক্তি যতক্ষণ না সে প্রাপ্ত বয়স্ক হয়। পাগল ব্যক্তি যতক্ষণ না সে সুস্থ হয়।’ [আবু দাউদ : ৪৪০১]

যদিও অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক-বালিকাদের ওপর সিয়াম পালন ফরজ নয় তবে অভিভাবকরা অভ্যস্ত করার জন্য তাদের সিয়াম পালন করতে বলবেন। সাহাবায়ে কেরাম তাদের বাচ্চাদের সিয়াম পালনে অভ্যস্ত করেছেন। তাই আমাদের জন্য মোস্তাহাব হল আমরাও আমাদের অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদের সিয়াম পালনে উদ্বুদ্ধ করব, যদি সিয়াম পালন তাদের কোন ক্ষতি না করে।

 অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়ে কখন বালেগ বা প্রাপ্তবয়স্ক হয় ?
যদি কোন অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক বা বালিকার মাঝে তিনটি আলামতের কোন একটি পরিলক্ষিত হয় তখন তাকে প্রাপ্তবয়স্ক বলে ধরা হবে। আলামত তিনটি হল :
(১) স্বপ্নদোষ অথবা অন্য কোন কারণে বীর্যপাত হলে।
(২) যৌনাঙ্গে কেশ দেখা দিতে শুরু করলে।
(৩) বয়স পনেরো বছর পূর্ণ হলে।

ছেলেদের মাঝে যখন এ তিনটি আলামতের কোন একটি পরিলক্ষিত হবে তখন তাদের পূর্ণবয়স্ক বলে ধরা হবে। অবশ্য মেয়েদের জন্য চতুর্থ একটি আলামত রয়েছে, তা হল মাসিক দেখা দেয়া। যদি দশ বছর বয়সী কিশোরীদেরও মাসিক দেখা দেয় তাহলে তাদের পূর্ণবয়স্ক বলে ধরতে হবে। এবং শরিয়তের সকল আদেশ-নিষেধ তার জন্য অবশ্য পালনীয় বলে গণ্য হবে। কোন কিশোর বা কিশোরী রমযান মাসের দিনের বেলা যদি সাবালক হয় তবে তাকে দিনের অবশিষ্ট অংশ পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে। এ দিনের সওম তার কাজা করতে হবে না। পিতা-মাতার কর্তব্য হল এ বিষয়ে সতর্ক থাকা ও সন্তানকে সচেতন করা। সাথে সাথে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তার ওপর যে সকল ধর্মীয় দায়িত্ব-কর্তব্য আছে তা পালনে দিক-নির্দেশনা দেয়া। পাক-পবিত্রতা অর্জনের নিয়ম-নীতিগুলো সে জানে কি না বা মনে রাখতে পেরেছে কিনা তার প্রতি খেয়াল রাখা।

 তৃতীয়. পাগল : পাগল বলতে বুঝায় যার জ্ঞান-বুদ্ধি লোপ পেয়েছে। যার কারণে ভাল-মন্দের মাঝে পার্থক্য করতে পারে না। এর জন্য সিয়াম পালন ফরজ নয়। যেমন পূর্বের হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। পাগল যখনই সুস্থ হয়ে যাবে তখনই সে সিয়াম পালন শুরু করে দেবে। যদি এমন হয় যে দিনের কিছু অংশ সে সুস্থ থাকে কিছু অংশ অসুস্থ তাহলে সুস্থ হওয়া মাত্রই সে পানাহার থেকে বিরত থাকবে। সিয়াম পূর্ণ করবে। পাগলামি শুরু হলেই তার সিয়াম ভঙ্গ হবে না, যদি না সে সিয়াম ভঙ্গের কোন কাজ করে।

 চতুর্থ. অশীতিপর বৃদ্ধ যে ভাল-মন্দের পার্থক্য করতে পারে না : যার বয়সের কারণে ভাল-মন্দ পার্থক্য করার অনুভূতি চলে গেছে সে শিশুর মতই। শিশু যেমন শরিয়তের নির্দেশমুক্ত তেমনি সেও। তবে অনুভূতি ফিরে আসলে সে পানাহার থেকে বিরত থাকবে। যদি তার অবস্থা এমন হয় যে কখনো অনুভূতি আসে আবার কখনো চলে যায় তবে অনুভূতি থাকাকালীন সময়ে তার ওপর স্বলাত, সিয়াম ফরজ হবে।

 পঞ্চম. যে সিয়াম পালনের সামর্থ্য রাখে না : এমন অক্ষম ব্যক্তি যার সিয়াম পালনের সামর্থ্য ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। যেমন অত্যধিক বৃদ্ধ অথবা এমন রোগী যার রোগ মুক্তির সম্ভাবনা নেইআল্লাহর কাছে আমরা এ ধরনের রোগ-ব্যধি থেকে আশ্রয় চাই। এ ধরনের লোকদের সিয়াম পালন জরুরি নয়। কারণ সে এ কাজের সামর্থ্য রাখে না।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন :
﴿ لَا يُكَلِّفُ ٱللَّهُ نَفۡسًا إِلَّا وُسۡعَهَاۚ ﴾ [البقرة: ٢٨٦
আল্লাহ কারো ওপর এমন কোন কষ্টদায়ক দায়িত্ব অর্পণ করেন না যা তার সাধ্যাতীত। {সূরা আল-বাকারা : ২৮৬}

কিন্তু এমন ব্যক্তির ওপর সিয়ামের ফিদয়া প্রদান ওয়াজিব। সিয়ামের ফিদয়া হল, প্রতিটি দিনের পরিবর্তে একজন মিসকিন (অভাবী) লোককে খাদ্য প্রদান করবে।
 কিভাবে মিসকিনকে খাদ্য প্রদান করবে ?
মিসকিনদের দুভাবে খাদ্য প্রদান করা যায় :
(১) খাদ্য তৈরি করে সিয়ামের সংখ্যা অনুযায়ী সমসংখ্যক মিসকিনকে আপ্যায়ন করাবে। (২) মিসকিনদের প্রত্যেককে এক মুদ পরিমাণ ভাল আটা দেবে। এক মুদ হল ৫১০ গ্রাম। (তবে হানাফী ফিকাহ অনুযায়ী দুই মুদ বা এক কেজি বিশ গ্রাম আটা বা সমপরিমাণ টাকা দেয়া যেতে পারে।)

 ষষ্ঠ. মুসাফির : মুসাফিরের জন্য সিয়াম পালন না করা জায়েজ আছে। সফরকে যেন সিয়াম পালন না করার কৌশল হিসেবে ব্যবহার না করা হয়। আল্লাহ রাববুল আলামীন বলেন :
﴿ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَوۡ عَلَىٰ سَفَر  فَعِدَّة  مِّنۡ أَيَّامٍ أُخَرَۗ يُرِيدُ ٱللَّهُ بِكُمُ ٱلۡيُسۡرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ ٱلۡعُسۡرَ ١٨٥ ﴾ [البقرة: ١٨٥
যে কেউ অসুস্থ থাকে বা সফরে থাকে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য যা সহজ তা চান, যা কষ্টকর তা চান না। {সূরা বাকারা : ১৮৫}

সুতরাং যে ব্যক্তি সফরে থাকে তার জন্য সিয়াম ভঙ্গের অনুমতি আছে এবং সফর শেষে সে সিয়াম আদায় করবে। তবে সে যদি সফরাবস্থায় সিয়াম পালন করে তা আদায় হবে। তবে উত্তম কোনটি, সফরকালীন সময়ে সিয়াম পালন করা, না সিয়াম ত্যাগ করা? যেটা সহজ মুসাফির সেটা করবেন। যদি তিনি দেখেন সফরকালীন সময়ে তার সিয়াম পালন বাড়িতে থাকাকালীন সময়ের মতই মনে হয় তবে সফরে তার সিয়াম পালন করা উত্তম। আর যদি দেখেন সফরে সিয়াম পালন করলে অতিরিক্ত কষ্ট হয় তবে সিয়াম ত্যাগ করা তার জন্য উত্তম। বরং বেশি কষ্ট হলে সিয়াম পালন মাকরূহ হবে। যেমন রাসূলে করিম ()-এর সাথে একদল সাহাবি সফরে থাকাকালে সিয়াম পালন করে খুব কষ্ট সহ্য করেছিলেন, রাসূলুল্লাহ () তাদের লক্ষ্য করে বললেন :
«أُولَئِكَ الْعُصَاةُ، أُولَئِكَ الْعُصَاةُ»
তারাইতো অবাধ্য ! তারাইতো অবাধ্য !!’ [মুসলিম : ]

সফরে কেউ সিয়াম পালন শুরু করল, পরে দেখা গেল সিয়াম সম্পন্ন রাখতে তার কষ্ট হচ্ছে তখন সে সিয়াম ভঙ্গ করে ফেলবে। এখন কথা হল এক ব্যক্তি সারা জীবনই সফরে থাকেন এবং সফরাবস্থায় সিয়াম পালন তার জন্য কষ্টকর সে কীভাবে সিয়াম পালন করবেন ? তিনি শীতকালে ছোট দিনগুলোতে সিয়াম পালন করতে পারেন।

 সপ্তম. যে রোগী সুস্থ হওয়ার আশা রাখে : যে রোগাক্রান্ত ব্যক্তির সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তার অবস্থা তিনটির যে কোন একটি হয়ে থাকে :
এক: এমন রোগী যার পক্ষে সিয়াম পালন কষ্টসাধ্য নয় এবং সিয়াম তার কোন ক্ষতি করে না। এমন ব্যক্তির সিয়াম পালন অপরিহার্য।
দুই: এমন রোগী সিয়াম পালন যার জন্য কষ্টকর। এমন ব্যক্তির সিয়াম পালন বিধেয় নয়; মাকরূহ। সিয়াম পালন করলে আদায় হয়ে যাবে তবে মাকরূহ হবে। ইসলামি শরিয়তের উদ্দেশ্য মানুষকে কষ্ট দেয়া নয় বরং শরিয়তের উদ্দেশ্য হল মানুষের সমস্যাকে হালকা করা।
তিন: এমন রোগী যে সিয়াম পালন করলে রোগ বেড়ে যাবে। এ অবস্থায় তার সিয়াম ত্যাগ করাই ওয়াজিব বা অপরিহার্য।

 অষ্টম. যে নারীর মাসিক চলছে : ঋতুকালীন সময়ে নারীর জন্য সওম পালন জায়েজ নয় বরং নিষেধ। যদি সওম পালন করা অবস্থায় মাসিক দেখা দেয় তাহলে তার সওম ভেঙে যাবে যদি সূর্যাস্তের এক মুহূর্ত পূর্বেও দেখা যায়। পরবর্তীতে এ সওমের কাজা করতে হবে। মাসিক অবস্থায় রমযানের দিনের বেলা কোন মহিলার মাসিক বন্ধ হয়ে গেল তাহলে তাকে ঐ দিনের বাকি সময়টা খাওয়া-দাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। পরে এটাও কাজা করতে হবে। যদি সুবহে সাদিকের এক মুহূর্ত পূর্বে মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তাহলে ঐ দিনের সওম পালন অপরিহার্য। এমন ভাবা ঠিক নয় যে, গোসল করা হয়নি তাই সওম পালন থেকে বিরত থাকতে হবে। সওমর নিয়ত করে নিবে। গোসল পরে করলে সমস্যা নেই। সিয়াম আদায়ের ক্ষেত্রে সদ্য প্রসূতি নারীর বিধান ঋতুবতী নারীর অনুরূপ। ঋতুবতী ও সদ্য প্রসূতি নারীরা সুস্থ হয়ে সিয়ামের কাজা আদায় করবে। তবে তাদের স্বলাতের কাজা আদায় করতে হবে না। আয়েশা রা.-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, ঋতুবতী নারী স্বলাতের কাজা আদায় করবে না, কিন্তু তাদের সিয়ামের কাজা আদায় করতে হবে কেন ? তিনি উত্তরে বললেন, আমাদের এ অবস্থায় শুধু সিয়ামের কাজা আদায় করতে রাসূলুল্লাহ () নির্দেশ দিয়েছেন, স্বলাতের কাজা আদায়ের নির্দেশ দেননি। {বুখারি ও মুসলিম}
এটা আল্লাহ রাববুল আলামিনের এক বিরাট অনুগ্রহ যে তিনি মহিলাদের হায়েজ ও নিফাস চলাকালীন সময়ের স্বলাত মাফ করে দিয়েছেন।

 নবম. গর্ভবতী ও দুগ্ধ দানকারী নারী : যদি গর্ভবতী বা দুগ্ধ দানকারী নারী সিয়ামের কারণে তার নিজের বা সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কা করে তবে সে সিয়াম ভঙ্গ করতে পারবে। পরে নিরাপদ সময়ে সে সিয়ামের কাজা আদায় করে নিবে। রাসূলুল্লাহ () বলেছেন :
إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى وَضَعَ عَنِ المُسَافِرِ الصَّوْمَ، وَشَطْرَ الصَّلَاةِ، وَعَنِ الحَامِلِ أَوِ المُرْضِعِ الصَّوْمَ أَوِ الصِّيَامَ
আল্লাহ রাববুল আলামীন মুসাফিরের অর্ধেক স্বলাত কমিয়ে দিয়েছেন এবং গর্ভবতী ও দুগ্ধ দানকরী নারীর সিয়াম না রেখে পরে আদায় করার অবকাশ দিয়েছেন।’ {তিরমিযী : ৭১৫}

 দশম. যে অন্যকে বাঁচাতে গিয়ে সিয়াম ভেঙে ফেলতে বাধ্য হয় : যেমন কোন বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি; পানিতে পড়ে যাওয়া মানুষকে অথবা আগুনে নিপতিত ব্যক্তিকে কিংবা বাড়িঘর ধসে তার মাঝে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করতে গিয়ে সিয়াম ভঙ্গ করল। এতে অসুবিধা নেই। যদি এমন হয় যে সিয়াম ভঙ্গ করা ব্যতীত এমন বিপন্ন মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না তাহলে সিয়াম ভঙ্গ করে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত হওয়া অপরিহার্য হয়ে পড়বে। কেননা জীবনের প্রতি হুমকি সৃষ্টি হয়েছে এমন বিপদগ্রস্ত মানুষকে উদ্ধার করা ফরজ। এমনিভাবে যে ইসলাম ও মুসলিমদের শত্রুদের বিরুদ্ধে আল্লাহর পথে জিহাদে নিয়োজিত সে সিয়াম ভঙ্গ করে শক্তি অর্জন করতে পারবে।
এ দশ প্রকার মানুষ যাদের জন্য সিয়াম ভঙ্গ করার অনুমতি দেয়া হল তারা যেন প্রকাশ্যে পানাহার না করে সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। কারণ এতে অনেক অজানা লোকজন খারাপ ধারণা পোষণ করবে যা ব্যক্তি ও সমাজের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।


Sunday 14 May 2017

আল্লামা সাঈদী রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার -শিবির সভাপতি





মেধাবী ছাত্রদের মাঝে কুরআন বিতরণ

আল্লামা সাঈদী রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার -শিবির সভাপতি

 শনিবার ১৩ মে ২০১৭ | প্রিন্ট সংস্করণ
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেন, আল্লামা সাঈদীকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক রেখে দেশের মানুষকে কুরআনের দাওয়াত থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। কুরআনের দাওয়াত ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন বলেই আল্লামা সাঈদীকে হত্যা করতে চাইছে সরকার। 
গতকাল শুক্রবার কুমিল্লার এক মিলনায়তনে ছাত্রশিবির কুমিল্লা মহানগরী শাখা ঐতিহাসিক কুরআন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মেধাবী ছাত্রদের মাঝে কুরআন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 
শিবির সভাপতি বলেন, আল্লামা সাঈদী শুধু বাংলাদেশে নয় বরং সারা বিশ্বে যারা কুরআনের আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম। এদেশের ধর্ম, বর্ণ, দল, মত নির্বিশেষে সবাই আল্লামা সাঈদীকে ভালবাসে। তিনি তার সারা জীবন কুরআনের খেদমত করে কাটিয়ে দিয়েছেন। শুধু পড়া নয় বরং কুরআনের আলোকে মানুষের সার্বিক জীবন পরিচালনার মাধ্যমে দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হওয়ার তিনি আহ্বান করেছেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে কুরআন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি সিপাহসালার। আর এ কারণে আদর্শহীন ইসলাম বিরোধী বাতিল শক্তির চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন তিনি। রাষ্ট্রীয় শক্তিকে অপব্যবহার করে তার উপর জুলুম করা হচ্ছে। তার কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিয়ে কুরআনের দাওয়াত থেকে মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাতেও সরকারের প্রতিহিংসা না মিটায় এখন তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু তার উপর কোন জুলুম দেশাবাসী সহ্য করবে না। পবিত্র রমযানের আগেই দেশবাসী কুরআনের পাখি আল্লামা সাঈদীকে মুক্ত অবস্থায় কুরআনের ময়দানে দেখতে চায়। 
তিনি উপস্থিত ছাত্রদের উদ্দেশে বলেন, ১৯৮৫ সালের ১১ মে কলকাতার হাইকোর্টে কুরআন বাজেয়াপ্ত করার ঘটনায় তৌহিদী জনতা যেমন বুকের তাজা রক্ত দিয়ে তা প্রতিরোধ করছিল। ঠিক তেমনি কুরআনের পাখি আল্লামা সাঈদীর জন্যও এদেশের মানুষ রক্ত দিতে প্রস্তুত। কারণ, আল্লামা সাঈদী শুধু কোন দলের নেতা নন বরং তিনি ইসলামপ্রিয় ছাত্রজনতার প্রাণপ্রিয় মানুষ। অতীতে তার উপর জুলুম দেশবাসী বরদাশত করে নি। তাই মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর সারা দেশের আপামর জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল। নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ একদিনেই ৭০ জনের অধিক মানুষ জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছে আল্লামা সাঈদী বাংলার গণমানুষের প্রাণপ্রিয় নেতা। সুতরাং সরকার যদি আল্লামা সাঈদীর ব্যাপারে কোন হটকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাহলে দেশের মানুষকে আর নিবারণ করা যাবে না। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।

Thursday 4 May 2017

৩৫ বছর বয়সে এসএসসি পাস, ছেলের চেয়ে ভালো ফল মায়ের


৩৫ বছর বয়সে এসএসসি পাস, ছেলের চেয়ে ভালো ফল মায়ের

নাটোর প্রতিনিধি: মা ও ছেলের বয়সের ব্যবধান অনেক হলেও দুজনেই এক সাথে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। এ ঘটনা নাটোরের বাগাতিপাড়ায়।

Wednesday 3 May 2017

মাসিক ‪মানবাধিকার‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন এপ্রিল-২০১৭


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির
মাসিক ‪মানবাধিকার‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন
এপ্রিল-২০১৭

মানবাধিকার হচ্ছে মানুষের এমন একটি সহজাত অধিকার যা কোন মানব সন্তান জন্মলাভের সাথে সাথেই অর্জন করে।  মানুষের জীবন ধারণ ও যাবতীয় বিকাশের জন্য যে অধিকার মানুষের অবশ্যই প্রয়োজন তাই মানবাধিকার।  মূলত

সকল শিক্ষাবোর্ডের SSC ও সমমান পরীক্ষার রেজাল্ট পেতে


সকল শিক্ষাবোর্ডের SSC ও সমমান পরীক্ষার রেজাল্ট দ্রুত ও সহজে দেখতে নিচের লিংকটি ভিজিট করুন।

রেজাল্ট দেখার লিংক: http://eboardresults.com.bd/ssc-result/

শেয়ার করে রাখুন। সহজে রেজাল্ট দেখতে সহায়ক হবে।

একি বললেন প্রধান বিচারপতি " পাকিস্তানের মত দেশে আইনের শাসন আছে কিন্তু বাংলাদেশে নেই’'


পাকিস্তানের মত দেশে আইনের শাসন আছে কিন্তু বাংলাদেশে নেই’
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, পাকিস্তানের মতো দেশে এখন সুপ্রিম কোর্ট যা বলে, নিম্ন আদালতের বিচারকদের পদোন্নতি ও বদলি—সব কটি সুপ্রিম

হাওরে শুধুমাত্র হিন্দুদের ত্রাণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

হিন্দুদের ত্রাণ দিচ্ছেন 

হাওরে শুধুমাত্র হিন্দুদের ত্রাণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক

হাওরে আকস্মিক বন্যায় দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে গত রোববার সুনামগঞ্জে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ

শেখ মুজিবের আসল পরিচয় বৈকুন্ঠ ঠাকুরকে দিয়ে সকাল সন্ধ্যা শেখ মুজিবের সমাধিতে পূজা দেয়া হ​য় !


বৈকুন্ঠ ঠাকুরকে দিয়ে সকাল সন্ধ্যা শেখ মুজিবের সমাধিতে পূজা দেয়া হ​য় !

সকাল সন্ধ্যা পুজা হয়, ঘন্টা বাজে শেখ মুজিবের সমাধিতে!
এজন্য একজন সনাতন ধর্মবলম্বীকে রাখা হয়েছে মুজিবের সমাধিস্থলে। তিনি সকাল সন্ধ্যা পুজা

Monday 1 May 2017

চাঞ্চল্যকর তথ্য আওয়ামী লীগে আতঙ্ক

আওয়ামী লীগে আতঙ্ক


অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
ক্ষমতার মেয়াদ যত ফুরিয়ে আসছে ততই চতুর্মুখি সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বিশেষ করে সম্প্রতি দলটির সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতাকর্মীদেরকে সতর্ক করে দেয়া বক্তৃতা-বিবৃতির পর আওয়ামী লীগের তৃণমূলের

বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ বিস্তারের সাথে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের কোন ধরনের সম্পৃক্ততা নেই

পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের অসত্য 
মন্তব্যের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ 
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ বিস্তারের সাথে 
জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের কোন ধরনের 
সম্পৃক্ততা নেই
৩০ এপ্রিল ২০১৭, রবিবার, ৭:২৯

পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল
 ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল
ইসলাম গত ২৯ এপ্রিল দৈনিক যুগান্তরের নিকট
 প্রদত্ত বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও
 ইসলামী